Friday 30 July 2021

যদি তব দেখা পাই

 পৃথিবী বড় বিচিত্র জায়গা। এখানে কোনোকিছুই স্থায়ী নয়। জীবনটা যেন পাশার ছক- একটা চালে নিমিষেই পাল্টে যায় সবকিছু! তবুও মানুষ জীবনের পথে হেঁটে চলেছে। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, জয়-পরাজয় আর সত্য-মিথ্যার মিশেলে অতিবাহিত হচ্ছে তাদের সময়।

মানুষের জীবন বড় বিচিত্র। যে সত্যকে আঁকড়ে ধরে জীবন শুরু হয়, একটা সময়ে এসে চোখের পলকে তাকে মিথ্যায় পরিণত হতে দেখি আমরা। তবু মানুষ বাঁচে, বাঁচতে শেখায়। প্রিয় মানুষের কাছ থেকে অসহনীয় আঘাত পেয়েও মানুষ ক্ষমা করতে জানে, মহৎ ত্যাগ করতে জানে। আর এই সবকিছুর অপূর্ব মিশেল ঘটেছে 'যদি তব দেখা পাই' বইটিতে। তরুণ লেখক শাদবিন শাকিল এই গল্পে তার ভাবনার সুতোগুলো এমনভাবে জুড়ে দিয়েছেন, আপনি পড়তে পড়তে অবাক হয়ে দেখবেন সেগুলো আপনারও ভাবনা! যারা এখনও পড়েননি, আমন্ত্রণ রইলো পড়ে ফেলার।
বই: যদি তব দেখা পাই
লেখক: শাদবিন শাকিল
প্রকাশক: নহলী


যে জীবন বকপক্ষীর

 কিছু বই আছে, যেগুলো একবার পড়ার পর বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। গল্পটা আপনি জানেন অথচ যতবার পড়বেন ততবার নতুন মনে হবে। এই বইটি সেই তালিকার একটি।

পড়ার মাঝে কতবার যে পড়া থামিয়ে 'একটা মানুষ এত সুন্দর করে গুছিয়ে কীভাবে লিখতে পারে' ভেবে অবাক হয়েছি তার হিসেব নেই।
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠা-নামা লেখক কত সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, বইটা না পড়লে কেউ বুঝতে পারবেন না।
বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আছেন, সবার প্রতি পরামর্শ থাকবে, আপনি যদি ভালো মানের একটি উপন্যাস পড়তে চান অবশ্যই অবশ্যই 'যে জীবন বকপক্ষীর' পড়বেন।
বই : যে জীবন বকপক্ষীর
লেখক : পুলক মন্ডল
প্রকাশনী : নহলী

মুদ্রিত মূল্য : ২৫০৳

নির্বাচিত ছোটগল্প (জেফরি আর্চার)

 কোনো এক বিচিত্র কারণে আমি অনুবাদ পড়তে পছন্দ করি না। কিন্তু এই বইটা পড়তে গিয়ে একবারও মনে হয়নি যে আমি অনুবাদ পড়ছি।

আমি গল্পগ্রন্থ কখনোই এক বসাতে শেষ করতে পারি না। কিন্তু এই বইয়ের প্রতিটি গল্প এতটাই অসাধারণ ছিল যে, একটি গল্প পড়া শেষ করার সাথে সাথে আরেকটা গল্প শুরু না করে পারিনি।
৬ টি নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার ছোটগল্পের বইয়ের ৭৮ টি গল্প থেকে বাছাইকৃত ১৮ টি গল্প নিয়ে সাজানো চমৎকার এই বইটি আপনারাও পড়ে ফেলতে পারেন৷
বই : নির্বাচিত ছোটগল্প (জেফরি আর্চার)
অনুবাদ : বদরুল মিল্লাত
প্রকাশনী : নহলী
মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০৳
🤎


এটিকুয়েটা

 এটিকুয়েটা

ত্রপাদের গ্রামে নাকি প্রতি দশ বছর পর পর এক দেবতার দৃষ্টি পড়ে। গ্রাম জুড়ে তখন খরা আর দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বৃষ্টি হয় না, ফসল ফলে না, ঘরে ঘরে মানুষ মশা-মাছিদের মতাে মরতে থাকে! দেবতাকে তখন সন্তুষ্ট করার জন্য নরবলি দিতে হয় মানুষের তাজা রক্ত যখন দেবতার গায়ে পড়ে, তাদের মৃত্যু চিৎকারে গ্রামের আকাশ বাতাস যখন থরথর করে কেঁপে উঠে, তখন শান্ত হন দেবতা। গ্রামের ওপর নেমে আসে অঝাের ধারায় বৃষ্টি।
নরবলির ব্যাপারটা বেশ বর্বর। তাছাড়া এই আধুনিক যুগে থানা পুলিশের ভয়ে নরবলি দেয়ার মতাে সাহসও কারাে হয় না। তাই খরী শুরু হবার আগেই গ্রামের সবাই মিলে অদ্ভুত এক অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয় যেখানে চারজন তরুণীকে বিয়ে দেয়া হয় চার ধরণের প্রাণির সাথে যার একজন শুধু মানুষ, বাকিরা...
বিয়ের পর নবদস্পতির্দের এক প্রাচীন মন্দিরে সেই দেবতার মূর্তির উদ্দেশ্য রেখে আসা হয়। দেবতা এই চার রকম “দম্পত্তির যেকোনাে এক দম্পতিকে নিজের সঙ্গে তার জগতে নিয়ে যান। আর বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন গ্রামের সুখ শান্তি! তবে শুধু একজোড়াই নয়, আজ পর্যন্ত সেই মন্দির থেকে কেউ ফিরে আসতে পারেনি।
ব্যাপারটা কি আসলেই এমন? নাকি,
ঘটনাক্রমে ত্রপা আর তার বান্ধবী জড়িয়ে পড়ে অদ্ভুত সেই অনুষ্ঠানের সাথে। ঘটতে থাকে একের পর এক অদ্ভুত সব ঘটনা। বের হয়ে আসে জমিদার বাড়ির ভয়ঙ্কর এক রহস্য। এবং তারপর?
আপনি যদি হরর এবং ফ্যান্টাসিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে এই বইটি আপনার জন্যই । কথা দিচ্ছি পাঠক, এ বই পড়ে আপনি হারিয়ে যাবেন অন্যরকম এক রহস্যময় জগতে, যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে নরকের রাজা পেমন, হিটলারের অদ্ভুত এক গােপন রহস্য, রহস্যময় জাদুর জগৎ যেখানে আছে তিন বােনের রেখে যাওয়া অসীম ক্ষমতার তিনটি শক্তি। বইটি জুড়ে আছে নানান রকম স্পেল ও রিচ্যুয়ালের ব্যবহার।
"এটিকুয়েটা"র রহস্যময় এবং ভয়াল জগতে আপনাকে স্বাগতম!
বই:

এটিকুয়েটা।
লেখক: নীলা মণি গোস্বামী।
জনরা: হরর ও ফ্যান্টাসি গল্প সংকলন।
প্রকাশনী: নহলী প্রকাশনী।
মুদ্রণ মূল্য: ২৩০৳

বই: এই সুরে কাছে দূরে

 বই: এই সুরে কাছে দূরে

লেখক- বদরুল মিল্লাত
মুদ্রিত মূল্য- ২৭০৳
বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকেঃ
ভিক্ষুক ইব্রাহিম মিয়া তুলি ও ফুলি নামের দুটি সাত/আট বছরের মেয়ে, একটি শিশু ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে অতিকষ্টে জীবন চালাচ্ছেন, তবে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে জীবন কাটালেও জীবন সম্বন্ধে তার দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক।
অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা রহমান সাহেব স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন। যার ছেলেটি ভার্সিটির মেধাবী ছাত্র হলেও সমাজের দুষ্টচক্রের প্রভাবে সন্ত্রাসী হয়ে গেছে, বড় মেয়ে বীথিকে ভালাে বিয়ে দিয়েছেন, ছােট মেয়ে তিথীও বেশ মেধাবী, ভার্সিটিতে পড়ছে।
ইরফান চৌধুরী একজন বিশাল ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট, কোটিপতি। তবে তার জীবনের শুরুটা সুখকর ছিল না। অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থায় ভার্সিটিতে পড়ার সময় আবেগের বশবর্তী হয়ে বড়লােকের মেয়েকে বিয়ে করে বড় সমস্যায় পড়ে যান, অবশেষে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার একমাত্র মেয়ে অহনা এই গল্পের প্রাণ। অহনা তার বাবার মতােই অত্যন্ত সহজ সরল একজন মানুষ, মানুষের কষ্টে যে ব্যথিত হয়, সহযােগিতা করতে চায়। বাবা আর মেয়ের সম্পর্কটা অত্যন্ত আবেগময় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ।
তিনটি সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থানের এই তিনটি পরিবারের জীবনের সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনার গল্প এই উপন্যাসে উঠে এসেছে। পরিবারগুলাের অবস্থান ভিন্ন হলেও তাদের চিন্তাধারণা, জীবন সম্বন্ধে দৃষ্টিভঙ্গি প্রায় একই রকম।

যদি তব দেখা পাই

  পৃথিবী বড় বিচিত্র জায়গা। এখানে কোনোকিছুই স্থায়ী নয়। জীবনটা যেন পাশার ছক- একটা চালে নিমিষেই পাল্টে যায় সবকিছু! তবুও মানুষ জীবনের পথে হেঁটে ...